সিলেট: সারা দেশে এক কোটি ২২ লাখেরও বেশি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করার মাধ্যমে শেষ হলো ইন্টারনেট উইক-২০১৫।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর রিকাবি বাজার সিটি ইনডোর জিমনেসিয়ামে এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়।
দেশের তিনটি বিভাগীয় শহর ও ৪শ ৮৭টি উপজেলায় এ উৎসব আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং গ্রামীণফোন।
উৎসবে অংশ নেয় ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও সারাদেশের স্থানীয় মোবাইল ভিত্তিক উদ্যোগ। সব উদ্যোগ প্রচার ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়। এতে দর্শনার্থীরা এসব সেবা নেওয়ার প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে ও জানতে পারেন।
ইন্টারনেট উইকের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় উৎসব, ৪শ ৮৭টি উপজেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ৫০টি সেমিনার, সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশন টক-শো’র মাধ্যমে এ আয়োজনে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন এক কোটি ২২ লাখেরও অধিক মানুষ। তারা ইন্টারনেট ও এর সঙ্গে জড়িত সেবা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে, দেখতে ও ব্যবহার করতে পেরেছেন।
এ আয়োজনের সুফল আগামীতেও পাওয়া যাবে। পৃথিবীর ইতিহাসে একসঙ্গে এত জায়গায় এ ধরনের আয়োজন এবারই প্রথম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান, বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক-২০১৫ এর আহ্বায়ক রাসেল টি. আহমেদ এবং গ্রামীণফোনের পরিচালক (বিপণন) নেহাল আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিন, বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতীম দেব, ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দীন কামরান এবং সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ শাহ ইমরাউল কায়ীশ, পরিচালক ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের সহ-আহ্বায়ক আশ্রাফ আবির, পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকা, পরিচালক আরিফুল হাসান অপু, গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর (স্টেকহোল্ডার রিলেশনস) ইশতিয়াক হুসেন চৌধুরী প্রমুখ।